- আজ মঙ্গলবার
- ৯ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২২শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২১শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
হিজাব পরা মুসলিম নারীদের মৌলিক অধিকার কি না তা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি ইসলাম ধর্মপালনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ কি না সেটিও ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকোর্ট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক শুনানিতে এসব কথা বলেন ভারতীয় আদালত। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শুনানিতে কর্ণাটক হাইকোর্ট গণমাধ্যমগুলোকে কোনো ধরনের মৌখিক পর্যবেক্ষণের খবর প্রকাশ না করতে এবং চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে অনুরোধ জানান।
এর আগে হাইকোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চে হিজাব সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়। এতে পিটিশনকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে।
তিনি আদালতকে বলেন, কর্ণাটকের শিক্ষা আইনে ইউনিফরম সংক্রান্ত জরিমানার কোনো বিধান নেই। আগে কলেজগুলোতে ইউনিফর্মের বাধ্যবাধকতাও ছিল না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা ইস্যুতে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ভারত। বিশেষ করে গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে মাণ্ড্যর প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে মুসকান খানের মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনার ঝড় ওঠে। হিজাবের পক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে দেশটির একাধিক রাজ্যে।
এ অবস্থায় সবাইকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই। পরিস্থিতি উত্তপ্ত না করে সবাইকে আদালতের আদেশের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মুসকান কলেজ ক্যাম্পাসে তার স্কুটার দাঁড় করিয়ে ক্লাসের দিকে যাচ্ছিল। এসময় তাকে দেখে একদল তরুণ ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দিতে দিতে তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে এতগুলো ছেলের বিপরীতে একা দাঁড়িয়েই সাহসের সঙ্গে হাত উঁচিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি তুলে পাল্টা চিৎকার করতে থাকে মুসকান। কিছুক্ষণের মধ্যে কলেজের কর্মকর্তারা এগিয়ে এসে তাকে ভেতরে নিয়ে যান।
মুসকান পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ওরা আমাকে কলেজের দিকে যেতে দিচ্ছিল না। কারণ আমি বোরকা পরে ছিলাম… ওরা জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার করতে থাকে। তাই আমিও আল্লাহু আকবার বলি।
এ কলেজছাত্রী জানিয়েছে, তাকে হয়রানি করা লোকদের মধ্যে বেশিরভাগই বহিরাগত। তাদের মধ্যে বড়জোর ১০ শতাংশের মতো ওই কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।