- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২০ জানুয়ারি ২০২২ | ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, বর্তমানে দেশ ‘৯৯ বনাম ১’ এইভাবে বিভক্ত। এই ৯৯ ভাগ মানুষ যাতে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। সেদিন কমিউনিস্টদের স্তব্ধ করার জন্য বোমা হামলা চালানো হয়েছিল, যাতে কমিউনিস্ট পার্টি মানুষকে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র মহাসমাবেশে বোমা হত্যাকাণ্ডের ২১তম বার্ষিকীতে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সেলিম এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের সামনে এ সমাবেশ হয়।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, হামলার পর জনগণের আরও বেশি অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সিপিবি এগিয়ে যাচ্ছে। অশুভ শক্তির হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। পল্টন বোমা হামলার মূল কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আজ চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে বামপন্থার উত্থান ঘটাতে হবে।
সমাবেশে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছেন, দ্বি-দলীয় ধারার বিপরীতে বাম বিকল্প শক্তির উত্থানের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ২০ জানুয়ারির পল্টন ময়দানের বোমা হামলার পর আলামত সংগ্রহ না করে সিপিবির নেতাকর্মীদের তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, এই হামলা দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়েছে! আওয়ামীলীগের সমাবেশে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরও বিএনপি সরকার একই কাজ করেছিল এবং একই কথা বলেছিল।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি শামসুজ্জামান হীরা, ঢাকা জেলার সভাপতি সুকান্ত শফি কমল, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লুনা নূর, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাদেকুর রহমান শামীম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য জহিরুল ইসলাম, গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু।
অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, ন্যাপ, গণফোরাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ, সিপিবি ঢাকা উত্তর, সিপিবি ঢাকা জেলা কমিটি, সিপিবি নারী সেল এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন থানা ও শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠন।