- আজ মঙ্গলবার
- ৩১শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৮ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৫:২০ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হক ভিলার নিচতলার তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে গত ২৩ জানুয়ারি মোসা. মুক্তা বেগমের (২৭) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি জানায়, স্বামী সোহাগের আগের বিয়ের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় মুক্তাকে হত্যা করা হয়।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে পটুয়াখালী থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করে সিআইডি। আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, মুক্তা বেগম নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের অনন্ত গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সোহাগের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। এরপর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকায় একটি বাসাভাড়া নিয়ে স্বামী সোহাগসহ বসবাস করতেন মুক্তা। ২০২১ সালে মুক্তা বেগম অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে গর্ভপাত করানো হয়।
মুক্তা ধর বলেন, কিন্তু ২০১৫ সালেই পটুয়াখালীর বাউফলে বিলকিস বেগমের সঙ্গে সোহাগের প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার পাঁচ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। সোহাগ আগের বিয়ের কথা মুক্তা বেগমকে জানাননি। পাশাপাশি তিনি বিলকিস বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ২২ জানুয়ারি রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মুক্তাকে হত্যা করেন সোহাগ। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মরদেহ ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তিনি পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সোহাগের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন মুক্তা বেগমের চাচা মো. সোহেল মিয়া। মামলায় সোহাগকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলেও জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।