• আজ রবিবার
    • ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি

    যুব বিশ্বকাপের পঞ্চম শিরোপা জিতলো ভারত

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩:০৯ অপরাহ্ণ

    আগের আসরে বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হারিয়েছিল। এবার ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে সেই দুঃখ ঘুচানোর সুযোগ তৈরি হয় ভারতের। ভুল হয়নি তাদের। আবারও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্ব জিতলো ভারত। অ্যান্টিগার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চমবার ছোটদের বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুললো ভারত।

    স্পিন নয়, ভারতের পেসারদের সামনে কুপোকাত ইংলিশরা। রাজ বাওয়া ও রবি কুমারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। এই দুই পেসার মিলেই নেন ৯ উইকেট। ফলে ৪৪.৫ ওভারে মাত্র ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়া ভারতকে পথ দেখান ব্যাটার রাজ। বিপদের সময় খেলেন চমৎকার এক ইনিংস। সেই সঙ্গে শাইক রশিদ ও নিশান্ত সিন্ধুর হাফসেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে ভারত।

    যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখলো নতুন এক কীর্তি। শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার গড়লেন রাজ। ৯.৫ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার রবি। ৯ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তার শিকার ৪ উইকেট। তাদের পেস আক্রমণে দিশেহারা ইংল্যান্ড ‍যুবাদের মাত্র পাঁচ ব্যাটার যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে।

    ফাইনাল মঞ্চে রান তাড়া করতে চায়নি ইংলিশরা। কিন্তু টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত যে এভাবে নাড়িয়ে দেবে, ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবেনি। ১৮ রানেই নেই ২ উইকেট। দেখতে দেখতে ৪৭ রানে হারায় ৫ উইকেট। এরপর ৯১/৭ স্কোরে ফাইনালের উত্তেজনা তখনই একরকম শেষ হয়ে যায়! কিন্তু হাল ছাড়েনি ইংল্যান্ড, আরও স্পষ্ট করে বললে হারার আগে হার মানেননি জেমস রিউ।

    আসলে এই ব্যাটার একা টেনে নিয়ে গিয়েছেন ইংলিশদের। অন্যপ্রান্ত থেকে একের পর এক সতীর্থ প্যাভিলিয়নে ফিরলেও তিনি খেলেছেন আপন মনে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, একটুর জন্য সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। ৯৫ রানে থামতে হয় তাকে। ১১৬ বলের ইনিংসটি রিউ সাজিয়েছেন ১২ রাউন্ডারিতে। তার সঙ্গে অবশ্যই কৃতিত্ব পাবেন জেমস সেলস। ৯ নম্বরে নেমে তিনি রিউকে সঙ্গ না দিয়ে তো ইংলিশরা আরও আগেই অলআউট হয়। সেলসকে আউটই করতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। ৬৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রানে। এর আগে ওপেনিংয়ে জর্জ থমাস ২৭ এবং রেহান আহমেদ ও অ্যালেক্স হোর্টন করেন ১০ রান করে।

    দুর্দান্ত বোলিংয়ে শিরোপার পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল ভারত। যদিও ১৯০ রানের সহজ লক্ষ্যে নিজেরাও বিপদে পড়েছিল। তবে মিডল অর্ডারের দারুণ নৈপুণ্যে শিরোপা উৎসব করেই মাঠ ছেড়েছে তারা। ৯৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন শঙ্কার মেঘ জমছিল, তখনই ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যান রাজ। বোলিংয়ে আলো ছড়ানোর পর ব্যাটিংয়ে অবদান রাখেন ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে। নিশান্তের সঙ্গে তার জুটিতেই জয়ের পথ সহজ হয় ভারতের। নিশান্ত ৫৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। তার সঙ্গে শিরোপা নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ১৩* রান করা দিনেশ বানা। এর আগে ৮৪ বলে ৫০ রান করে অবদান রাখেন রশিদ।

    ইংল্যান্ডের তিন বোলার- জোশুয়া বয়ডেন, জেমস সেলস ও থমাস অ্যাসপিনওয়াল প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১
    ১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
    ১৯২০২১২২২৩২৪২৫
    ২৬২৭২৮২৯৩০