- আজ বৃহস্পতিবার
- ২৬শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১০ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১২ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৫:২৬ অপরাহ্ণ
সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকা ও গাজীপুরে যেতে হয় যাত্রীদের
কালীগঞ্জ-ঢাকা-গাজীপুরে রুটে সরাসরি কোনো ধরনের গণপরিবহন নেই। ফলে একাধিক যানবাহনে ভেঙে ভেঙে যাত্রীদের ঢাকা ও গাজীপুরে যেতে হয়। এতে ভোগান্তির অন্ত থাকে না তাদের।
স্থানীয়রা জানান, আড়িখোলা রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকালে তিনটি ট্রেন রাজধানী অভিমুখে ছেড়ে যায়। এ ট্রেনগুলো ভিন্ন ভিন্ন স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার ফলে যাত্রীতে পূর্ণ থাকে। যে কারণে আড়িখোলা স্টেশন থেকে যাত্রী উঠতে হয়রানির শিকার হতে হয়। তবে তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটির শিডিউল প্রায়ই বিলম্বিত হয়। তাই ভরসার জায়গা যখন সড়ক পরিবহন তখন রাজধানী ও জেলার সঙ্গে সরাসরি গণপরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে চলে নানা অজুহাতে যাত্রী হয়রানি।
১৫ বছর আগে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কে কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (কেটিএল) নামের একটি গণপরিবহন কালীগঞ্জ-মহাখালী-গুলিস্তান সড়কে চলাচল করত। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এ পরিবহনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো পরিবহন রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সেবা চালু করতে পারেনি। তবে কালীগঞ্জ থেকে সরাসরি গাজীপুরে কোনো কালেই গণপরিবহন চালু ছিল না। যে কারণে জেলামুখী কর্মজীবী যাত্রী সাধারণকে ভেঙে ভেঙে অথবা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিজার্ভ নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে হয়।
ঢাকার উত্তরায় কর্মরত শারমিন সুলতানা বলেন, ঢাকায় কর্মরত থানায় প্রতিদিন আমাকে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ঢাকায় সরাসরি সার্ভিস থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। ভেঙে ভেঙে গেলে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি খরচও হয় অতিরিক্ত।
অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান হোসেন জানান, গাজীপুর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি দীর্ঘদিন। প্রতিদিন ভাদুনের সড়কে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটির বেহাল দশার কারণে দুইবার দুর্ঘটনার শিকারও হই। সরাসরি কোনো পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির দিনে ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক বেশি।
মো. শামসুল ইসলাম আরেকজন বলেন, ঢাকার বনানীতে একটি বায়িং হাউজে কাজ করি। প্রতিদিন ভোরে রওনা দিতে হয়। আর ওই সময় কেটিএল বাসই একমাত্র ভরসা। লেগুনা দুই একটা এলেও শীত সকালে তাতে চড়া খুব কষ্টের। তাই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
কালীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (কেটিএল) বাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম বলেন, পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ সড়কে বাসের ব্যবসা অনেক মন্দা। একটি বাস থাকা যেন গলায় ফাঁসি লেগে থাকার মত। সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার পরিমাণ বেড়ি যাওয়ায় মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষা করে না।