- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২১শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
ইতিহাসে যার যতটুকু ভূমিকা, তা স্বীকার না করলে একদিন ইতিহাসই মুখ ফিরিয়ে নেবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেছেন, ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন ছিল উপমহাদেশে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাজনীতিকেরা ক্ষমতার চশমায় নিজেরা যেমন সবকিছু দেখতে অভ্যস্ত তেমনি অন্যদেরও দেখতে বাধ্য করছেন। ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে অনুষ্ঠিত কাগমারী সম্মেলন ছিল পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের প্রথম স্বাধীনতার ডাক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি ও সংস্কৃতির স্রোতধারা এক মোহনায় মেশার উদাহরণ খুব বেশি নেই। রাজনীতির কুশীলবেরা সব সময় ক্ষমতাকে মোক্ষ ভাবেন এবং তার হাতিয়ার হলো রাজনীতি। এর ব্যতিক্রম ছিল বাহান্ন, ঊনসত্তর ও একাত্তর, যেখানে জনগণ ছিলেন ‘নায়ক’। আন্দোলন-সংগ্রামের উত্তাল সেই সময়ে রাজনীতি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছিল।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, আমরা অনেকেই ইতিহাস ভুলে যাই এবং বর্তমানকে নিয়ে মশগুল থাকতে পছন্দ করি। কাগমারী সম্মেলনকে সাংস্কৃতিক সম্মেলন বলা হলেও এর রাজনৈতিক তাৎপর্য বিশাল এবং জাতির জীবনে সেই সম্মেলনের অভিঘাত হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। কাগমারী সম্মেলন থেকেই ভাসানী বাংলাদেশের মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনেই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানিয়েছিলেন। একটি নিরীহ ধর্মীয় সম্বোধন কীভাবে রাজনৈতিক প্রত্যয়ে রূপ নেয়, সেটা আজও গবেষণার দাবি রাখে। মওলানা ভাসানীর ‘আসসালামু আলাইকুম’ শব্দটি স্বাধীনতার সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তখন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়ার সভাপতিত্বে এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম-মহাসচিব মো. মহসীন ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মিতা রহমান, রেজাউল করিম রীবন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।