- আজ মঙ্গলবার
- ৯ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২২শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২১শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
ইউক্রেন সংকট নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে কোনো ধরনের আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কেভুসোগ্লু। এছাড়াও তিনি ইউক্রেন ইস্যুতে বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।
গতকাল শনিবার ইউক্রেনে যেকোনো সময় হামলা করতে পারে রাশিয়া- যুক্তরাষ্ট্রের এ মন্তব্যের পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি এ আহ্বান জানালো।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক আদেশে তাদের দূতাবাস কর্মীসহ সব নাগরিককে ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। এজন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। পেন্টাগন বলছে, এরইমধ্যে দেড়শ সেনা প্রশিক্ষককে ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, দুই দিনের মধ্যে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আর হামলার শুরু হতে পারে আকাশপথে।
সুলিভান আরও জানান, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে ফোনালাপ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এখনো তারা কূটনৈতিক পর্যায়ে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে মত দিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন সুলিভান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছে, যদি পশ্চিমা শক্তিগুলোর হাতে আসন্ন আক্রমণ নিয়ে কোনো সুনিশ্চিত প্রমাণ আছে কি না তিনি নিশ্চিত নন। একটা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সকল তথ্যই মনে হচ্ছে মিডিয়ার কাছে আছে। আমরা ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত, আমরা জানি ঝুঁকি আছে। যদি আপনার কাছে শতভাগ নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে, আমাদেরকে জানাতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস ও জাপান তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলছে। কোনও কোনও দেশ ইউক্রেনে তাদের কূটনৈতিক কর্মীদের পরিবারসহ সরিয়ে এনেছে। হোয়াইট হাউজ থেকে আসা বার্তায় বলা হয়েছে, মি. বাইডেন মি. পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যদি হামলা হয় তবে এর ‘দ্রুত এবং কঠিন মূল্য দিতে হবে রাশিয়াকে’।
যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলায় প্রস্তুত এবং আমরা অন্য যেকোনও পরিস্থিতির জন্যও একইভাবে তৈরি। ক্রেমলিন এই কলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ও তার মিত্রদের ‘হিস্টিরিয়া’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, মি. পুতিন তার প্রতিপক্ষকে বলেছে তারা রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ সামাল দেয়নি এখনো। তবে রাশিয়া বলছে, দুই দেশের শীর্ষ নেতারা কথা চালিয়ে যাবেন।
ফ্রেঞ্চ অ্যাম্বাসির নোটে বলা হয়েছে, ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁও মি. পুতিনের সাথে ফোনালাপে বলেছেন, ঘটনাপ্রবাহ যেভাবে আগাচ্ছে তাতে আন্তরিক সংলাপ হচ্ছে না।