- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২১শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৫:৫১ অপরাহ্ণ
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বদাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করা হয়ে থাকে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনার কাজে সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই নির্বাচন কমিশনের ওপরে প্রভাব বিস্তার করা হয়নি, হবেও না।
আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘লাগাতার বিষোদগারের’ প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য প্রদান করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের মধ্য থেকেই নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে এবং নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কমিশনের অধীনে থাকে। কোনও দল বা সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে না। নির্বাচনকালিন সরকার শুধুমাত্র তাদের রুটিন ওয়ার্ক করে থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে ক্ষমতা পাকা-পোক্ত করার জন্য কীভাবে প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন কমিশনকে যথেচ্ছাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে মাগুরা ও মিরপুর উপ-নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দেয় তারা। গণবিরোধী অবস্থান নিয়ে অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন যে নির্বাচন করেছিল, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত আছে।’
প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই গণতন্ত্রের বিপরীত মেরুতে বিএনপির অবস্থান অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নসাৎ করে অসাংবিধানিক ও অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখল করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি-সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। সেই সামরিকতন্ত্র নীতির অনুসারী বিএনপি আজ নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক পন্থায় গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। স্বৈরতন্ত্রের নীতিতে পুষ্ট বিএনপির গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি এক ধরনের অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা রয়েছে।’
একটি দেশবিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তি যখন লাগাতারভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকে, তখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা কষ্ঠসাধ্য হয়ে পড়ে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যে কোনও মূল্যে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবিরোধী এই মহল ও তার প্রতিভূ বিএনপিকে আমরা পরাস্ত করবো। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব দেশপ্রেমিক জনগণকে পাকিস্তানি ভাবধারার এই প্রেতাত্মা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাবো।’