- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৫:২৩ অপরাহ্ণ
২১৬ রানের সাধারণ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এক ফজলহক ফারুকির পেস বোলিংয়েই খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৮ রানে পড়েছে ৫ উইকেট! পরে মাহমুদউল্লাহও বিদায় নেওয়ায় সাজঘরে ফিরেছেন ৬জন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২১ ওভারে ৬ উইকেটে ৯৫ রান।
চট্টগ্রামে শুরুতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম। প্রথম ওভারে মেরেছেন দুটি চার। ছন্দপতন ঘটে তৃতীয় ওভারেই। ফারুকির তৃতীয় বলে শুরুতে গ্লাভসবন্দি হন লিটন (১)। আফগানিস্তান রিভিউ নেওয়ার পরেই আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। এক বল বিরতি দিয়ে এলবিডাব্লিউ হন তামিমও (৮)। শুরুতে অবশ্য অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। সফরকারীরা রিভিউ নেওয়ার পর মিলেছে সাফল্য।
দুই ওপেনার ফেরার পর মুশফিক পরিস্থিতি সামাল দেবেন কী? উল্টো নিজেই ফাঁদে পড়েন এলবিডাব্লিউর। পঞ্চম ওভারে ফারুকির ভালো লেংথের বল খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও তার শেষ রক্ষা হয়নি! ফিরেছেন মাত্র ৩ রানে। বিপদ পড়ে যাওয়া পরিস্থিতিতে অভিষিক্ত ইয়াসির আলীও দাঁড়াতে পারেননি। একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়েছেন রানের খাতা না খুলে! বিপর্যয়ের সেই শুরু। অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানও সাজঘরের পথ ধরলে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ১০ রানে মুজিবের বলে আন্ডার এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন বামহাতি অলরাউন্ডার!
ধ্বংসস্তূপ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাননি মাহমুদউল্লাহ-আফিফও! কিছুক্ষণ ক্রিজে থেকেও থিতু হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরং রশিদ খানের ঘূর্ণিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৮ রানে। তবে চাপের মাঝে থেকেও বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে মিলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন। আফিফ ক্রিজে আছেন ৩০ রানে, মিরাজ ২৩ রানে।
অথচ দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ২১৫ রানে আটকে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করা আফগানিস্তান একটা সময় মোহাম্মদ নবী-নাজিবুল্লাহ জাদরান জুটিতেই ভালো স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু তাসকিন আহমেদের বলে জুটি ভাঙার পর বেশি দূর যেতে পারেনি তারা। পরে সাকিবও উইকেট উৎসবে যোগ দেওয়ায় ২১৫ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ইনিংস। পুরো ইনিংসে জাদরানের ৬৭ রানই ছিল মূল আকর্ষণ।তার কারণেই স্কোর দুইশো ছাড়িয়েছে। আফগান ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরারও তিনি। তার ৮৪ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। তার বিদায়ের পর পর ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
৩৫ রানে মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তাসকিন, সাকিব ও শরিফুল দুটি উইকেট নিলেও খরুচে ছিলেন দুজন। তাসকিন ৫৫ রান দিয়েছেন আর সাকিব দিয়েছেন ৫০ রান। এক ওভারে ৪ রান দিয়ে একটি উইকেট মাহমুদউল্লাহর।