- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৫ এপ্রিল ২০২২ | ৩:৪৬ অপরাহ্ণ
গ্রেপ্তারের একদিন পরেই জামিন পেলেন ঝালকাঠির নলছিটির সেই বাবা কমল চন্দ্র অধিকারী। তাঁর মেধাবী সন্তান শান্ত অধিকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে পুলিশ এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার না করায় মানববন্ধন করেছিলেন তিনি।
গতকাল রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নলছিটি প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে উল্টো প্রতিপক্ষের মামলায় তাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ গ্রেপ্তারের পরপরই তাড়াহুড়ো করে তাকে আদালতের মধ্যেমে কারাগারে পাঠায়।
আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তাঁর পক্ষে অ্যাডভোকেট জি কে মোস্তাফিজুর রহমান জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচার মো. মনিরুজ্জামান শুনানি শেষে কমল চন্দ্র অধিকারীর জামিন মঞ্জুর করেন।
আহত শান্ত অধিকারীর মা কল্যাণী রানী অধিকারী বলেন, আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলায় আদালত থেকে তাঁর জামিন হয়েছে। অথচ পুলিশ এখনো আমার ছেলেকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সৈয়র ভোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি সঞ্জয় মন্ডলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা গরিব বিধায় আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। ওদের টাকা আছে, তাই পুলিশ ধরে না।
জানা যায়, কমল চন্দ্র অধিকারীর সঙ্গে প্রতিবেশী সৈয়র ভোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি সঞ্জয় মন্ডলের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় একাধিকবার শালিস মীমাংসা হলেও সঞ্জয় মন্ডলের পরিবার তা মানছেন না। উল্টো বিভিন্ন সময় কমল চন্দ্র অধিকারীকে গ্রামছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছিল।
এরই জের ধরে গত ১৬ এপ্রিল বাড়ির কাছেই সঞ্জয় মন্ডল ও তাঁর মা অঞ্জলী রানী মন্ডল কমলের স্ত্রী কল্যাণী রানীকে পিটিয়ে আহত করে। মাকে বাঁচাতে গেলে ছেলে বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী শান্ত অধিকারীকেও এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করে। এতে শান্তর মাথা ফেটে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে শান্তর।
এ ঘটনায় শান্তর বাবা কমল চন্দ্র অধিকারী হামলাকারী সঞ্জয় মন্ডলসহ দুই জনের নামে নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এক সপ্তাহেও আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় রবিবার সকালে নলছিটি প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে শান্তর পরিবার। এতে শান্তর বাবাসহ গ্রামের শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে আসামি বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী সঞ্জয় মন্ডলকে গ্রেপ্তার ও চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে পুলিশ শান্তর বাবাকে প্রতিপক্ষের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।