- আজ মঙ্গলবার
- ৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২৪শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২১ জুন ২০২২ | ১:৩৯ অপরাহ্ণ
সাবেক গেরিলা নেতা গুস্তাভো পেত্রো কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জুন) দ্বিতীয় দফার ভোটেও জয় পান তিনি। দেশটিতে প্রথমবারের মতো কোনো বামপন্থি নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। তার রানিংমেট ফ্রান্সা মার্কেজ হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। প্রথম বামপন্থি নেতা হিসেবে পেত্রো বিশ্বাস করেন যে কলম্বিয়া পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে তা অস্বীকার করা কঠিন।
গত ২৯ মে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে গুস্তাভো পেত্রো জয়ী হলেও কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। ফলে রোববার অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এ নির্বাচনে পেত্রোর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৭৭ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রোদোলফো এরনান্দেজ।
দ্বিতীয় দফায় ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হলেন পেত্রো। এরনান্দেজের চেয়ে সাত লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। দেশটির প্রায় দুই কোটি ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেনে রোববারের ভোটে।
এম-১৯ গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন ৬২ বছর বয়সী পেত্রো। যেটি মূলত কলম্বিয়ার ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জালিয়াতির বিরোধিতা করতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পেত্রো মাত্র ১৭ বছর বয়সে যোগ দেন সেই বাহিনীতে এবং ১০ বছর ছিলেন। তাদের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তিনি এক বছরেরও বেশি সময় কারাগারেও কাটিয়েছেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে সম্প্রক্ত হন। রাজনীতির মূলধারার সঙ্গে বহু বছর অতিবাহিত করেন। একজন সিনেটর এবং একজন কংগ্রেসম্যান, সেইসাথে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় তিনি এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দেন পেত্রো। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা, পেনশন ব্যবস্থায় সংস্কার আনা ও অনুৎপাদনশীল জমির ওপর উচ্চ কর আরোপ করবেন। ২০১৬ সালে যে চুক্তির কারণে কমিউনিস্ট গেরিলা গোষ্ঠী ফার্কের সঙ্গে সরকারের ৫০ বছরের দীর্ঘ সংঘাতের অবসান হয়েছিল, তা বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
মাদক চোরাকারবারসহ, বিদ্যমান নানা সংকট কীভাবে মোকাবিলা করেন পেত্রো সে অপেক্ষায় দেশটির সাধারণ জনগণ। তবে নানাবিধ ইস্যু তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।