- আজ শুক্রবার
- ২৭শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১১ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৪ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৭ আগস্ট ২০২২ | ২:০৯ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে হারাধন চৌধুরীর (৬৫) নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে আহলা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সকালে সাবেক ইউপি সদস্য হারাধন চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গায়ে কাঁদা লেগে ছিল। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত হারাধন চৌধুরী দুই সংসারে ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শহরে থাকেন। গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রী সুপ্রিয়া ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন হারাধন চৌধুরী। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের স্ত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরী জানান, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির আশেপাশে তিনটি অটো-রিকশা ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তাই তিনি ভয়ে ঘরে না এসে বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তিনি ঘরে ফিরে আসেননি।
স্থানীয়রা জানান, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজা উপলক্ষে বাড়ির বাইরে অনেকেই জেগে গল্পগুজবে ব্যস্ত ছিলেন। এরপর ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বেশ কয়েকটি সিএনজি চালিত অটো-রিকশার শব্দ শোনা যায়। ঘর থেকে হারাধনের স্ত্রী বের হয়ে অটোরিকশায় এলাকার পরিচিত একজনকে দেখতে পান। সেই লোক পুলিশ নিয়ে এসেছে সন্দেহে স্বামীকে সরে যেতে বললে হারাধন বাইরে ছিলেন। এর আগে স্থানীয় একটি মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় আদালতে জামিন নিতে গিয়ে হারাধনকে কারাগারে পাঠান আদালত। তিনি ১০দিন জেলহাজতে ছিলেন। এলাকাবাসী চাঁদা তুলে তাকে জামিনে আনেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গত দুই-তিন আগে হারাধন চৌধুরী বাড়ি আসেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) তারিক রহমান বুধবার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, হারাধর চৌধুরীর মরদেহ তার ঘরের ৩-৪শ মিটারের মধ্যে একটি পুকুর পাড়ে পাওয়া যায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী কিছু সময় আগে থানায় (বোয়ালখালী থানা) এসেছেন। তিনি লিখিত অভিযোগ দেবেন। তার সঙ্গে আমরা কথা বলবো। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মামলা নেবো।