- আজ সোমবার
- ২রা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৬ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৭ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ৭:৫৮ অপরাহ্ণ
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ওপর বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় সমবেত হয়। বেলা ২টা থেকে পুলিশ বিনা উসকানিতে অতর্কিতভাবে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের ওপর ক্র্যাকডাউন শুরু করে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়রনেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের প্রতি অভিযোগ এনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা বর্বরোচিতভাবে নির্বিচারে মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ককটেল, লাঠিচার্জ করতে থাকে। যা আপনাদের চোখের সামনেই ঘটেছে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এই কাপুরুষোচিত ও লোমহর্ষক ঘটনা স্বাধীন দেশে কল্পনাতীত।’
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, আমি খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই এবং আপনারা দেখেছেন আমাকেও আমার অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অযাচিতভাবে সিমেন্টের ব্যাগে করে হাত বোমা নিয়ে প্রবেশ করে এবং সেখানে রেখে আসে, যা বিভিন্ন মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে।
‘এরপর দলীয় কার্যালয়ে তারা ন্যক্কারজনকভাবে অভিযান চালিয়ে নিচতলা থেকে ৬ তলা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করে।’ অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসনের কক্ষ, মহাসচিবের কক্ষ, অফিস কক্ষের দরজা তারা অন্যায়ভাবে ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং সকল আসবাবপত্র, ফাইল, গুরুত্বপূর্ণ নথি, তছনছ করে। তারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক এবং এমনিকি দলীয় সদস্যদের প্রদেয় মাসিক চাঁদার টাকা, ব্যাংকের চেক বই, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্তসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যায়।’
সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি এহেন অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী, সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। একইসঙ্গে মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, এই বর্বরোচিত ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে
বুধবার সংঘর্ষের পর বিএনপির যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন—আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক মিয়া, এ বি এম মোশারফ হোসেন, হারুন-উর-রশিদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুল খালেক, মনির হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সেলিম রেজা হাবিব, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, খন্দকার আবু আশফাক, মাহাতাব উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, রাবিকুল ইসলাম। এছাড়া, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় দফতরের কর্মচারী রেজাউল করিম, দলিল উদ্দিন, সেলিম, ফারুক, রফিকসহ অন্যান্য কর্মচারীদেরও পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তাদের আটকের পর পুলিশ নিজেদের রেখে আসা বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের নামে নাটক সাজায় ও মিথ্যাচার করে। আমার সামনেই পুলিশ সেখানে অসংখ্য বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। শুধু পুলিশ নয়, পুলিশের সাথে ডিবি, সোয়াত বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরাও এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নিয়োজিত ছিল।’