- আজ বুধবার
- ১০ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৩শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২৩শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৫:২৯ অপরাহ্ণ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে তিনদিন ধরে জরিপ চালানোর পর সংস্থাটিতে আর্থিক অনিয়ম এবং কর ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ভারতের আয়কর বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যেই আয়কর বিভাগের এই অভিযোগ উঠল।
আয়কর বিভাগ শুক্রবার জারি করা বিবৃতিতে বলেছে, তারা একটি নামকরা আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থার দিল্লি আর মুম্বাই অফিসে জরিপ চালিয়েছিল। তিন দিন ব্যাপী তদন্তে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ভারতে এই বিদেশি সংস্থার কিছু অংশের রেমিটেন্সকে ভারতে সংস্থার আয় হিসাবে দেখানো হয়নি এবং তার ওপর কর জমা দেয়া হয়নি।
আয় এবং লাভের যে অঙ্ক সংস্থাটি দেখিয়েছে, তা ভারতে তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেও দাবি করা হয়েছে এই বিবৃতিতে।
এদিকে আয়কর বিভাগ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে অবশ্য স্পষ্ট করে বিবিসির নাম উল্লেখ করা হয় নি। তবে ওই সংস্থাটি হিন্দি, ইংরেজি এবং আরও বেশ কয়েকটি ভারতীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রস্তুত করে বলেও লেখা হয়েছে বিবৃতিতে এবং তিনদিন ধরে দিল্লি আর মুম্বাইতে বিবিসির দুটি দপ্তরে হানা দেয়ার পরেই এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিবিসি জানিয়েছে, তারা আয়কর বিভাগের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবে এবং তারা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সরাসরি কোনও বার্তা পেলেই তার জবাব দেবে।
এরআগে বৃহস্পতিবার তিনদিন ধরে ভারতে বিবিসির দপ্তর দুটিতে তল্লাশি চালানোর পরে বিবিসি জানিয়েছিল, আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা জারি রাখব এবং এটা আশা করব বিষয়গুলি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
বিবিসি আরও জানিয়েছিল, সংস্থাটি কর্মীদের পাশে আছে, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘসময় জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে বা রাতে দপ্তরেই থেকে যেতে হয়েছে তাদের সুস্থতা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ শিরোনামে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম বিবিসি। ২০০২ সালে গুজরাত হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সেই রাজ্যে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে।
তবে বিবিসির এই তথ্যচিত্রের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সমস্ত সামাজিকমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্রটি। দেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ তথ্যচিত্রটি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার পর সেগুলো তুলে নেয়া হয়। এমনকি ভারতে বিবিসিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল। এবার সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযো আনা হল।