- আজ বুধবার
- ১০ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৩শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২২শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮:২৯ অপরাহ্ণ
প্রথমবারের মতো মানুষবিহীন বিমান বহনে সক্ষম রণতরী চালু করেছে তুরস্ক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীটি চালু করল দেশটি। যার ৭০ শতাংশ সামগ্রী নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘টিসিজি আনাদোলু’। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এটি ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নে সক্ষম ১০টি হেলিকপ্টার ও ১৯টি যুদ্ধবিমান হ্যাঙ্গারে রেখে যুদ্ধকালীন সময় বহন করতে পারবে। রণতরীতে রয়েছে ১২২৩ জন সৈন্য ও স্টাফের আবাসনের ব্যবস্থা। আছে হাসপাতালসহ আধুনিক সব ব্যবস্থা। তুরস্কের বাইরাক্তার, কিজিলেলমা ড্রোন, হারজে লাইট অ্যাটাক এয়ারক্রাফটসহ মনুষ্যবাহী ও মনুষ্যবিহীন বিভিন্ন ধরনের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের ব্যবস্থা রয়েছে আনাদোলুতে।
৭৫৮ ফুট দীর্ঘ এ রণতরী একই সঙ্গে যুদ্ধবিমান, সামরিক যানবাহন ও ড্রোন বহন করবে এবং যেকোনো সময় ঘাঁটি থেকে সহায়তা নেয়া ছাড়াই অন্তত এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য যেকোনো জায়গায় স্থানান্তর ও মোতায়েন করতে সমর্থ হবে।
যুদ্ধজাহাজ হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, টিসিজি আনাদুলু হচ্ছে তুর্কি শতাব্দীর প্রতীক। এটা বিশ্বের প্রথম যুদ্ধজাহাজ যেখানে ড্রোন উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো জায়গায় সামরিক অভিযান চালাতে সক্ষম টিসিজি আনাদোলু। এর সুবাদে আমরা সংকটগ্রস্ত এলাকাগুলোতে স্বল্প সময়ে মানবিক ও সামরিক কার্যক্রম চালাতে পারব। এবার পূর্ণাঙ্গ বিমানবাহী রণতরী তৈরিতে আমরা মনোনিবেশ করব।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, টিসিজি আনাদোলুর ওয়েপন সিস্টেম, কমব্যাট ম্যানেজমেন্ট, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সার্চ, লেজার ওয়ার্নিং, টর্পেডো ডিফেন্স সিস্টেম ও রাডার স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
৭৫৮ ফুট দীর্ঘ ও ১০৫ ফুট প্রশস্ত টিসিজি আনাদোলু নির্মিত হয়েছে ইস্তাম্বুলের সেদেফ শিপইয়ার্ডে। এর গতি ঘণ্টায় ২১ নটিক্যাল মাইল। এটি একনাগাড়ে ৫০ দিন সমুদ্রে অবস্থান করতে সক্ষম।