- আজ বুধবার
- ২৫শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ৯ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১১ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৫ মে ২০২৩ | ৮:২৪ অপরাহ্ণ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মনে করে অনেক প্রার্থী নানা শংকা প্রকাশ করছেন।
তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, গাজীপুরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান বলেন, এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের প্রার্থীর প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচিত হয়ে সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার আগে দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন করতে হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা, সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ হবে কিনা, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে কিনা এসব নিয়ে এখনো যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন ভালো চলুক এটা সরকারই চায় না। এ সিটির প্রথম মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে জেলে পাঠানো হয়েছিলো, জাহাঙ্গীর আলমকেও দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি।
বিএনপির পরিবারের সদস্য স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম রনি বলেন, ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে কতটুকু দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছিল তা সবাই জানে। ওই নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রশাসন দিয়ে কেন্দ্র দখল এবং ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে তার সুনিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। পুলিশ দিয়ে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ধরে দূর-দূরান্তের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে দিয়ে এসেছিল। অনেক এজেন্টের পকেটে তখন টাকাও ছিল না। মানুষের কাছে গাড়ি ভাড়া সংগ্রহ করে তাদের বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে যাতে এমন পরিস্থিতি না হয় সেজন্য সকলের সহযেগিতা কামনা করছি।
মেয়র প্রার্থী ছাড়াও অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যেও শংকা বিরাজ করছে। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থক একাধিক প্রার্থী রয়েছে। এছাড়া অন্তত ২২টি ওয়ার্ডে বিএনপির নেতা ও সমর্থকরা প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রভাব এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটাররা।
তবে গাজীপুর মেট্রেপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃংখলা বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি রয়েছে। কেউ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।