• আজ মঙ্গলবার
    • ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ২০শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ২০শে জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

    ব্রিটেনে করোনা রোগীর চাপ, হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০১ জানুয়ারি ২০২১ | ৭:৫০ অপরাহ্ণ

    ব্রিটেনে নতুন ধরণের করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপে হাসপাতালগুলো চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। লন্ডনে ইনটেনভিস কেয়ারের শীর্ষ একজন চিকিৎসক অধ্যাপক হিউ মন্টোগোমারি এ পরিস্থিতির জন্য যারা লকডাউনে বিধিনিষেধ ভেঙ্গেছে, মাস্ক পরেনি তাদেরই দায়ী করেছেন। লন্ডনের একটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ রায় জানায়, ‌’তার চাকুরি জীবনে হাসপাতালে রোগীর এমন চাপ তিনি এর আগে কখনো দেখেননি। তিনি বলেন, তার হাসপাতালে অতিরিক্ত শতাধিক বেড সংযোজন করেও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। -খবর বিবিসি’র।
    “আমার হাসপাতালে বেড অনুযায়ী রোগী নেয়া হয়। কিন্তু বেড সব পূর্ণ হয়ে এখন অন্য জায়গা যেমন ওয়েটিং এরিয়া, করিডোর সব রোগীর জন্য ম্যানেজ করা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে যে কাকে রেখে কাকে চিকিৎসা দিবো”।
    তিনি বলেন, একজন রোগী এলে তাকে তো অক্সিজেন, চিকিৎসা কিংবা প্রয়োজনীয় জরুরি অন্য সহায়তা দিতে হবে। এগুলো দিতে নার্স বা স্টাফ যত থাকা দরকার তা রোগীর অনুপাতে অনেক কমে গেছে।
    তিনি বলেন, তার হাসপাতালে যেসব জায়গায় রোগী রাখা যায় সেগুলোর সব জায়গায় রোগী রাখার পরেও বাইরে রোগী অপেক্ষা করছিলো।
    তিনি বলেন, ব্রিটেনে চিকিৎসা দেয়া একটি টিম ওয়ার্কের বিষয় অর্থাৎ ডাক্তার, নার্স, হেলথওয়ার্কার, অক্সিজেন ও চিকিৎসা যাকে যতুটুকু দরকার সেটি দিতে হয় ও এসব সাপোর্ট পর্যাপ্ত থাকতে হয়।
    “কিন্তু আমরা হিমশিম খাচ্ছি যে কাকে রেখে কাকে রিসিভ করবো, কোনটাকে প্রায়োরিটি দিবো, কোথায় রাখবো, কি লজিস্টিক, কে অক্সিজেন ম্যানেজ করবে, কে ঔষধ দিবে -সব কিছু নিয়ে হিমশিম অবস্থা”।
    ব্রিটেনে এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ চলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
    কিন্তু দ্বিতীয় ওয়েভে এসে কী পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‌”ভয়াবহ। প্যাটেন্ট ওয়েটিং এরিয়ায় সেদিন দেখলাম নন কোভিড প্যাটেন্ট রোগী এসেছিলো। তাদের ওয়েটিং এরিয়ায় ট্রিটমেন্ট দিতে হচ্ছে। আর কোন জায়গা ছিলোনা। ওদিকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী অপেক্ষা করছে”।
    “এ অবস্থা বাড়তে থাকবে- মনে হচ্ছে সেকেন্ড ওয়েভের পিক পয়েন্টে আমরা এখনো যাইনি”।
    কিন্তু দেশটিতে হাসপাতালের বেড, আইসিও সব তো নির্দিষ্ট পরিমাণ- তাহলে কীভাবে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছে যে এর পরে কী করতে হবে।
    বিভিন্ন হাসপাতালে কমিউনিকেশন ডেভেলপ করার যাতে এক হাসপাতালে জায়গা না থাকলে অন্য হাসপাতালে পাঠানো যায় কি-না -সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
    ৩১