- আজ মঙ্গলবার
- ৩রা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ
দেশের সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউকিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছেছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।
প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ানরা বহনকারী গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান। ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর ভোরে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান। পরেরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়। শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
প্রথম চালানোর পর গত ৬ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান রাজধানী ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছায়। ১৩ অক্টোবর একই পথে ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটের ভৌত এবং অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়ে গেছে ৯০ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।