- আজ রবিবার
- ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৮ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৭ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দুজনসহ মোট ২৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ১৯, জামালপুরে ৩, নেত্রকোনায় ২ ও শেরপুরে ১ জন প্রার্থী রয়েছেন। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) নিজ নিজ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে ১০৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। নান্দাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিলে ঋণ খেলাপির দায়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল করে ইসি। ফলে ৮৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ছিল। এরইমধ্যে রবিবার ময়মনসিংহ-৫ ও ময়মনসিংহ-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। এছাড়া জাকের পার্টির ৭, জাসদের ৬, তরিকত ফেডারেশনের এক ও স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে ১১টি আসনে মোট ৬৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য সাত স্বতন্ত্র প্রার্থী দলীয় প্রধানের কাছে আবেদন করেন। তবে প্রার্থী পরিবর্তন করেনি দল। এ জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। এখন কার পক্ষে কাজ করব, তা সময় বলে দেবে।’
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে ২০১৪ সালের মতো নৌকা পেয়েও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুছ ছাত্তারকে। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে টানা দুই বার সংসদ সদস্য হন ফখরুল ইমাম। তিনি এবারও মহাজোটের প্রার্থী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশ ও দলের জন্য শেখ হাসিনা অপরিহার্য। তবে এখন আমরা কি করব তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ আসন ছাড় দেওয়ার পরেও ময়মনসিংহ-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন মাঠে থাকায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে জাতীয় পার্টির সালাহ উদ্দিন আহমেদ (মুক্তি) জোটের প্রার্থী।
এছাড়া ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেং নৌকার প্রার্থী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপির বিপক্ষে লড়বেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোমনাথ সাহা।
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্তরে বিরুদ্ধে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর বিরুদ্ধে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুর বিরুদ্ধে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমএ ওয়াহেদ।
এদিকে শেরপুরের তিনটি সংসদীয় আসনে যাচাই-বাছাইয়ে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। এর মধ্যে রোববার সদর আসন থেকে জাকের পার্টির প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
নেত্রকোনা জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ২৪ জন প্রার্থী বৈধ হলেও রবিবার জাকের পার্টির ২ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশতাহ আহমেদ রুহীর বিরুদ্ধে লড়াই হবে জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদারের। নেত্রকোনা-২ আসনে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে সাবেক ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয়ের। নেত্রকোনা-৩ আসনে অসীম কুমার উকিলের বিপক্ষে লড়বেন সাবেক সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর।
জামালপুরের পাঁচটি আসনে মোট বৈধ প্রার্থী ছিলেন ২৯ জন। তার মধ্যে জাকের পার্টির তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এই জেলার পাঁচটি আসনে মোট প্রার্থী ২৬ জন।