- আজ বৃহস্পতিবার
- ২৬শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১০ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১২ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ | ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর থেকেই ওই উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বর এই হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৪ হাজার ২৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
তবে এরই মধ্যে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা উপস্থিতি কমাতে শুরু করেছে ইসরায়েল।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনারা এবার দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ লক্ষ্যে লেবানন সীমান্তে মোতায়েন ইসরায়েলি সেনারা ব্যাপক মহড়া চালাচ্ছে।
গত অক্টোবরের গোড়ার দিকে যখন গাজায় ইসরায়েল অভিযান শুরু করে, তখন থেকেই লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ’র সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি বিনিময় চলছে।
কাতার-ভিত্তিক আল-জাজিরা নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে স্থল অভিযান চালাতেই মূলত ইসরায়েল সেনারা সীমান্তজুড়ে ব্যাপক মহড়া চালাচ্ছে।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইহুদিবাদী সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দিয়েছিল, ইসরায়েলি বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স এরইমধ্যে লেবানন সীমান্ত অতিক্রম করে একটি স্থল অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু লেবানন-ভিত্তিক আল-মায়াদিন টিভি ওই খবর সত্যতা অস্বীকার করে জানায়, ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর লেবানন সীমান্ত অতিক্রম করার খবর সত্য নয়।
ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার ওরি গর্ডিনের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, লেবানন সীমান্তে অন্তত ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ইহুদিবাদী সেনাদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে গর্ডিনকে মহড়ারত ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে দেখা গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা নিক্ষেপ শুরু করে।
হিজবুল্লাহর হামলার জের ধরে উত্তর ইসরায়েলের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেয় তেল আবিব। এসব ইহুদিবাদীকে নিজ ঘরবাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার আপাতত কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হিজবুল্লাহ কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইসরায়েল যদি যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটাতে চায় তাহলে ব্যাপকভাবে আক্রমণের মাত্রা বাড়াবে এই প্রতিরোধ আন্দোলন।