বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) খেলোয়াড়দের সপ্তাহজুড়ে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে র‌্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি।

গত সোমবার শেষ হওয়া বিশাখাপাত্নাম টেস্টে ১০৬ রানের অনায়াস জয় পায় ভারত, সেই সঙ্গে সমতা টানে সিরিজে। দলের ওই জয়ে বল হাতে অসাধারণ অবদান রাখেন বুমরাহ। প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি, ৩৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো পান পাঁচ উইকেট।

ম্যাচ সেরা হওয়ার পথে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন বুমরাহ। এছাড়া ওই ম্যাচে দেশের দ্রুততম বোলার হিসেবে ১৫০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়েন তিনি। এমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে তিন ধাপ এগিয়ে সবার ওপরে উঠেছেন বুমরাহ। এই সংস্করণে তার আগের সেরা অবস্থান ছিল তৃতীয় স্থান।

টেস্টের র‌্যাঙ্কিংয়ে এর আগে ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান ছিল কাপিল দেবের। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর থেকে পরের বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি। বুমরাহর ছাড়াও ২০১০ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে এই র‌্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে উঠেছিলেন সাবেক পেসার জাহির খান।

ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে অশ্বিন ছাড়াও এর আগে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন রবীন্দ্র জাজেদা ও সাবেক তারকা বিষান সিং বেদী। বুমরাহর কাছে শীর্ষস্থান হারানো অশ্বিন নেমে গেছেন তিন নম্বরে। প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট পান তিনি। তাদের মাঝে দুই নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এই টেস্টেই ২০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ভারতের ওপেনার ইয়াশাসবি জয়সওয়াল। এর সৌজন্যে এক লাফে ৩৭ ধাপ এগিয়ে ২৯ নম্বরে আছেন তিনি। ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলিরও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে টেস্ট ম্যাচটি ভালো কাটে। দুই ইনিংসে ৭৬ ও ৭৩ রান করে আট ধাপ এগিয়ে ২২ নম্বরে আছেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অসাধারণ নৈপুণ্যে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন এই সংস্করণের এক নম্বর ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন। বুধবার শেষ হওয়া ম্যাচটি ২৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে তারা। এই ম্যাচে দুই ইনিংসে ১১৮ ও ১০৯ রান করেন তিনি।

এক ধাপ এগিয়ে দুইয়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ। আর তাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে তিনে নেমে গেছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। টেস্টের অলরাউন্ডারদের তালিকায় আগের মতোই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।