- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উসকানিতে বারবার ইসলাম ও মহানবী (সা.) কে অবমাননা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। তারা বলছেন, ভারতের যে পুরোহিত মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেছে তার বিরুদ্ধে ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। তারপরও মোদি সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এতে প্রমাণিত হয়, মোদির উসকানিতে বারবার ইসলামকে অবমাননা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটের সামনের রাস্তায় জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের মধ্যে আমাদের প্রিয় নবী (সা.)কে বারবার অবমাননা করা হচ্ছে। এ অবমাননা বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলিমের হৃদয়ে আগুন জেলে দিয়েছে। ভারত সরকার পাপিষ্ঠদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। এই পুরোহিতের বিরুদ্ধে ভারতে ৫০টি বেশি মামলা হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত মোদি সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এটাই প্রমাণ হয় মোদি সরকারের উসকানিতে বারবার ইসলামকে ও ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করা হচ্ছে।
মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আমরা আজ পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে এই কুলাঙ্গারকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। আর যদি ভারত সরকার বিচার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে বিশ্বের তৌহিদী জনতা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে। প্রয়োজনে তাদের ঈমান রক্ষার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে।
তিনি বলেন, শুধু যে ভারত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করছে তাই নয়, বারবার দাঙ্গা লাগিয়ে মুসলমানদের হত্যা করছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে, মুসলমানদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। ভারত শুধু ভারতের মুসলমানদের দুশমন নয়, বাংলাদেশের জন্য দুশমনে পরিণত হয়েছে। কেউ ভারতের সীমান্তে গেলেই তাদের গুলি করে মারা হচ্ছে। এক ফেলানি নয়, অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগের আমলেই ১২ শতাধিক মুসলমানকে তারা হত্যা করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, মুসলিমবিরোধী ও কোরআন হাদিসের পরিপন্থি কোনো কিছু যেন না হয়। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।