- আজ শনিবার
- ৬ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৯শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েও পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। অনুপ্রবেশের জন্য পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল ও স্থানীয় প্রশাসনের ওপর দোষ চাপালেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।
শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। কারণ সেখানে স্থানীয় প্রশাসনই অনুপ্রবেশে মদদ দেয়। ঝাড়খণ্ডেও একই কারণে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন এখানেও অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গঠন করার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে বিজেপি সরকার গঠন হলে দলের নেতাকর্মী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, সবাই অনুপ্রবেশ আটকাবেন। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে দেশ থেকে।
ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আসছে দলে দলে। আমাদের মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছে। তাদের জমি দখল করছে। এটা যদি বন্ধ করা না যায়, তবে ঝাড়খণ্ডের পরিচিতি, তাদের সংস্কৃতি, কাজের সুযোগ, জমির অধিকার, মেয়েদের সুরক্ষা কোনোটাই রক্ষা করা যাবে না। সেই কারণেই বিজেপি স্লোগান তুলছে, রোটি, বেটি আর মাটি। ঝাড়খণ্ডে নারী নির্যাতনকারী অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে শাহ বলেন, হেমন্ত সোরেনের সরকারের আমলে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীরা নিরাপদ নয়। আপনি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে আপনি আপনার ভোটব্যাংক দেখতে পান। অনুপ্রবেশকারীদের কারণে এই রাজ্যে আদিবাসীদের সংখ্যা কমছে, জনসংখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে। হেমন্ত সোরেনের সরকার তার নিজেদের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। কিন্তু আজ আমি ঝাড়খণ্ডের জনগণকে জানাতে চাই যে, তোষণের রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেবে এবং ঝাড়খণ্ডের পুনর্গঠন করবে।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করবে বিজেপি।
উল্লেখ্য, আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং অনুপ্রবেশ ইস্যু দু’টিকে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে বিজেপি। যদিও ইউনিফর্ম সিভিল কোডের থেকে আদিবাসীদের বাইরে রাখা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শাহ।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের ১৪টি আসনের আটটিতে জিতেছিল বিজেপি। তবে তারা আদিবাসী অধ্যুষিত পাঁচটি আসনের একটিতেও জয় পায়নি। তাই বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির চোখ আদিবাসী ভোট।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস