- আজ রবিবার
- ১লা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৫ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৬ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৭:০২ অপরাহ্ণ
রাখাইন রাজ্যের মংডুতে রাতভর গোলা বিস্ফোরণের শব্দে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত কেটেছে। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোরে গোলা বর্ষণের শব্দ শোনা গেছে।
স্থানীয়রা বলছে, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাংয়ের পূর্বে নাফ নদের ওপারে মংডু শহরের অবস্থান। নাফ নদ দিয়ে শহরের প্রবেশপথ খায়েনখালী খালের কাছাকাছি রাতভর ব্যাপক গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। তাদের মতে, জান্তাবাহিনী রাখাইনে আরাকান আর্মির দখল করা এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য সারারাত যুদ্ধ বিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা জসিম মাহামুদ বলেন, মিয়ানমারের গোলার শব্দে রাতে ঘুমাতে পারিনি। এমন শব্দে আগে পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছিল মাথার ওপর পাহাড় ভেঙে পড়ছে। গোলার বিকট শব্দে বাড়ির নারী-শিশুরা বেশি ভয় পেয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত এখনো চলমান। ফলে সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেদেশের গোলার শব্দ এপারেও ভেসে আসছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।
এদিকে টেকনাফ নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও নাফ নদীর মোহনায়ও সীমান্ত থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের শব্দ।
মংডুও শহরের মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির জান্তা সরকারের মধ্য আট মাস ধরে যুদ্ধ চলমান। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত টহল দিচ্ছেন। সীমান্তবর্তী সড়কেও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড সব সময়ের জন্য প্রস্তুত।
সীমান্তে আগের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা অনেকটা কমেছে উল্লেখ করে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।