- আজ শনিবার
- ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৫ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১২ জুলাই ২০২৫ | ৭:২২ অপরাহ্ণ
জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কাছে দেশ ছেড়ে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পরও দেশে নতুন করে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা এদের প্রতিহত করবেন।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি মিটফোর্ডে সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডসহ সারাদেশে খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “আওয়ামী লীগের পতনের পর মানুষ ভেবেছিল চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু দেখা গেলো, নতুন করে আরেকটি গোষ্ঠী সেই একই অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। তারা নিজেদের নেতাকর্মীদের পর্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করছে। অথচ তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না, কারণ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ তারাই পোষে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে, তাদের দায়িত্ব এখন জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তা না পারলে তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত।”
সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, “মিটফোর্ড, খুলনা ও চাঁদপুরে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার রাজনীতিকেও হার মানিয়েছে। এই ছাত্র-জনতার অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আর কোনো সন্ত্রাসীর স্থান হবে না।”
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “নির্বাচনের নামে যারা দেশে নৈরাজ্য চালাচ্ছে, তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। তারা এমন একটি দলে পরিণত হয়েছে, যাদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার আগেই মানুষ তাদের পতন চায়।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়কে কেন্দ্র করে একটি দল পরিকল্পিতভাবে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও খুনের মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরি করছে। তারা নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে এসব অপরাধীকে ব্যবহার করছে। কিন্তু জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।”
তিনি সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে প্রেস ক্লাব ও শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এতে মহানগরীর নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন।