- আজ শনিবার
- ৬ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৯শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৮ই শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
| ০৪ জুলাই ২০২১ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি। এতে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে। এ অবস্থায় ‘অটো পাস’ না দিয়ে অন্য কোনো উপায়ে মূল্যায়নের পরিকল্পনা করছে সরকার। ‘জাতীয় মূল্যায়ন পরামর্শক কমিটি’ গঠন করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে কিছু বিকল্প পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা চলছে। একেবারে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের ভিত্তিতে কোনো উপায়ে মূল্যায়ন করা যায় কি না, সেই ভাবনা যেমন আছে; তেমনি এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের ফলকে গণনায় নেওয়ার পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা এবং এসএসসির ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্টের পাশাপাশি জেএসসি পরীক্ষার ফলকে গণনায় নেওয়ার মতো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মোদ্দা কথা, এবার একেবারে ‘অটো পাস’ দিতে চায় না শিক্ষা বোর্ডগুলো।
প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি এবং এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে।
সরকারের পরিকল্পনা হলো, ‘পর্যাপ্তসংখ্যক’ টিকা দেওয়ার পর এবং করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া।
এ রকম পরিস্থিতিতে আগের পরিকল্পনামতো পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে বিকল্প পরিকল্পনাটি সামনে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন, গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছিল এসএসসি ও জেএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে। এর সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়টি যুক্ত হতে পারে। আর এসএসসির ক্ষেত্রে জেএসসির ফল আছে। এর সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্সকে হিসাবে নেওয়ার ভাবনা আছে, যদিও এই কাজটি বেশ কঠিন হবে। কারণ, এর ঠিকমতো দলিল নেই। তবে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়ার তথ্য আছে। সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে।