- আজ বৃহস্পতিবার
- ২রা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২০শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৯ আগস্ট ২০২১ | ৮:২১ অপরাহ্ণ
সাভারের আশুলিয়ায় স্কুলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৬) শ্রেণিকক্ষে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে দুই সহকর্মী। পরে পাঁচ টুকরো কলেজের আঙিনায় পুঁতে রাখে। এরমধ্যে মাথার অংশ আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয় তারা। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আঙিনা থেকে লাশের পাঁচটি টুকরো উদ্ধার করে র্যাব। মাথা উদ্ধারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন—মোতালেব, রবিউল ও তার ভাগিনা বাদশা।
র্যাব জানায়, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে কোচিং করানো হতো। মিন্টু চন্দ্র বর্মণের কোচিংয়ে শিক্ষার্থী ছিল বেশি। এ নিয়ে অন্য সহকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এছাড়া মালিকানা নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
র্যাব আরও জানায়, গত ৭ জুলাই শ্রেণিকক্ষে বসে মিন্টুকে হত্যার পরিকল্পনা করে অন্য সহকর্মীরা। ১৩ জুলাই কোচিং শেষ হওয়ার পর রাত ১১টার দিকে তাকে ১০৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে তারা। এরমধ্যে মাথার অংশটি আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। বাকি অংশগুলো ওই স্কুলের আঙিনায় পুঁতে রাখে। এরপর জায়গাটি সিমেন্ট-বালু দিয়ে ঢালাই করে দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে খোঁজ না পেয়ে গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মিন্টুর ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ। এরপর থেকেই পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। পরে তার সহকর্মীসহ তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ স্কুলের আঙিনায় পুঁতে রাখা লাশের পাঁচটি টুকরো উদ্ধার করে র্যাব।