- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
| ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৪:১৪ অপরাহ্ণ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে কমিটির এক সভায় এসব পরামর্শ দেয়া হয়।
কমিটির সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সভায় বলা হয়, সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষা এবং শিক্ষক, কর্মচারী ও সমাজের ভালো এবং স্বাস্থ্য খাত নিশ্চিত করতে হবে। সকল ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। স্কুল বন্ধ থাকার জন্য শিক্ষার্থীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং তাদের যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এলাকায় করোনা পরবর্তী সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
পরামর্শে বলা হয়েছে, সকল স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে যদি কোনো ব্যত্যয় হয় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরামর্শে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর করোনার টিকা নেয়া থাকতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ১৪ দিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের ১৪ দিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। এছাড়া উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব করোনার টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
কমিটির পরামর্শে আরও বলা হয়েছে, আবাসিক সুবিধাসংবলিত স্কুল, মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাবেশ-স্থানগুলো (ক্যাফেটেরিয়া, ডাইনিং, টিভি/স্পোর্টস রুম, ইত্যাদি) বন্ধ রাখা, রান্নাঘর থেকে সরাসরি খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করা ও একাধিক শিক্ষার্থী যেন একই বিছানা ব্যবহার না করে। এছাড়া মাদরাসায় একসঙ্গে নামাজ ও সমাবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।