- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২১শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৯ নভেম্বর ২০২১ | ৯:১২ অপরাহ্ণ
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আগেই ভারতে পাচার বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) মু. আ. হামিদ জমাদ্দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তেলের পাচার বন্ধে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। দিন দশেক আগে এ চিঠি দেওয়া হয়েছি, যেন তারা ব্যবস্থা নেয়। সেটাই বিধান। কারণ পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো আমাদের অধীনে নয়।’
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘সরকার পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে। দামটাও তো পরিকল্পনা করে বাড়ানো হয়েছে। আমরা দিন দশেক আগে হোমকে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) চিঠি দিয়েছিলাম, তারা যাতে স্টেপ (পদক্ষেপ) নেয়, আমাদের তেল যাতে বাইরে যেতে না পারে। তারা চেষ্টা করেছে এবং ইট ইজ গোয়িং অন।’
‘তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে যা বেড়েছে, আমরা সেটা জানুয়ারি থেকে সামলাচ্ছিলাম। এছাড়া আরও একটি ছোট কারণ হচ্ছে, আমার তেল আমি ধরে রাখতে পারছি না। কিছু তেল চলে যায়। ভারতের ট্রাক ড্রাইভাররা ভারত থেকে খালি ট্রাক নিয়ে ঢুকে, ট্যাঙ্কি ফুল করে তেল নিয়ে যাচ্ছে। এটা তো হয় না।’
আগের তুলনায় ভারতের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামের ব্যবধান কমেছে জানিয়ে আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, ‘এখনো ডিজেলে লিটারে ২৫ টাকার মতো ব্যবধান রয়েছে। যেখানে দাম কম সেখানে থেকে মানুষ অনিয়ম করে হলেও নেবে, এটাই নিয়ম।’
গত ৪ নভেম্বর থেকে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ায় সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়।
এর প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ৫ নভেম্বর থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন মলিকরা। ৬ নভেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চ চলাচলও। পরে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণার পর বাস ও লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়।
গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তেল পাচারের শঙ্কার কথা বলেছিলেন।