- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২২ নভেম্বর ২০২১ | ১:৫৭ অপরাহ্ণ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেত্রী ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি।
এর আগে গত শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতেই পূর্ব আগরতলা থানা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় সে সময় তিনি যেতে চাননি। পরে রবিবার সকালে থানায় গেলে তাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিকেলে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ছিল পূর্ব আগরতলা থানা চত্বর। থানার ভেতরে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের লক্ষ্য করে সে সময় বাইরে থেকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে একদল যুবক। এতে আক্রান্ত হতে হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মীকে। এমনকি আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকেও।
ঘটনার সময় থানা চত্বরের বাইরে থাকা তৃণমূল নেতাদের বেশ কয়েকটি গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, কোনো অন্যায় কাজ করেননি সায়নী, তাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর একটি নির্বাচনী সভার সামনে থেকে তাকে লক্ষ্য করে ‘খেলা হবে’ বলায় সায়নীও সে সময় ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ বলেন। এতেই না কি মুখ্যমন্ত্রীকে গালমন্দ করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব বলেন, এর আগে কর্মী-সমর্থকদের হাত-পা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ১১টির মতো এফআইআর দায়ের করা হয় আমাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু একটি ক্ষেত্রেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেই। অথচ ‘খেলা হবে’ বলায় ঘণ্টা কয়েকের ব্যবধানেই ডেকে পাঠানো হলো সায়নীকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতারও করা হয়। আমরা এসব ঘটনা নিয়ে সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাচ্ছি।
তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শংকর লোধ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিশ্বজিৎ দেবনাথ নামে আগরতলার জেল আশ্রম রোডের ধলেশ্বর এলাকার এক ব্যক্তি এই অভিযোগ আনেন সায়নীর বিরুদ্ধে। ‘খেলা হবে খেলা হবে’ একটি রাজনৈতিক স্লোগান। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও বিজেপি বলেছে ‘চলো পাল্টাই’। এ ক্ষেত্রে এ ধরনের বক্তব্য কেন অসাংবিধানিক হতে যাবে?