• আজ সোমবার
    • ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১২ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১১ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

    আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যার রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছে ভিকটিমদের পরিবার

    | ০২ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩:০৪ অপরাহ্ণ

    সাভারের আমিনবাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভিকটিমদের পরিবার।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা শেষে নিহত কামরুজ্জামানের বাবা আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মামলাটির রায়ে আমি সন্তুষ্ট, দীর্ঘদিন পরে হলেও রায় হয়েছে। রায়ে প্রকৃত দোষী আসামিদের শাস্তি হবে—এই প্রত্যাশা ছিল আমাদের। আজকের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

    অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই আলোচিত হত্যা মামলাটির রায় দীর্ঘদিন পর ঘোষণা হল। রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রত্যাশা করেছিলাম আসামিদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

    অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী শিউলি আক্তার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

    তিনি বলেন, এই রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের কপি হাতে পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব।

    আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সাড়ে ১১টায় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত এ আদেশ দেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আব্দুল আলিম, সাইদ মেম্বার, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন, জমসের আলী, মির হোসেন, মজিবর রহমান, নুর হোসেন, রজ্জব আলী, আলম, রানা, আব্দুল হামিদ, আসলাম মিয়া।

    যাবজ্জীব কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজিব হোসেন, ওয়াসিম, সাত্তার, সেলিম, মনির হোসেন, আলমগীর, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির,রুবেল, নূর ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন, টুটুল, মাসুদ, মোখলেস, তোতন, সাইফুল।

    মোট ৫৭ জন আসামির মধ্যে ৩২ জনকে কারাদণ্ড দিলো আদালত। বাকি আসামি খালাস পেয়েছে।

    এর আগে, গত ২২ নভেম্বর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন।

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ঘুরতে যান ৭ বন্ধু। ডাকাত সন্দেহে তাদের মধ্যে ছয় জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ডাকাতির অভিযোগে আহত আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডাকাতির মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। আর পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

    ওই ঘটনায় নিহতরা ছাত্ররা হলেন—ধানমন্ডি ম্যাপল লিফের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত।

    এ ঘটনায় নিহতদের বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান। ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি তদন্ত শেষে র্যা বের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
    এরপর ২০১৩ সালের ৮ জুলাই আদালত ৬০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন। বিচার চলাকালে মামলায় ৫৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ঘটনার পর এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

    চার্জশিটভুক্ত ৬০ আসামি হলেন—ডাকাতি মামলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বর, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম, মনির, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হয়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল ও আলম। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম ও কবির হোসেন মারা গেছেন।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
    ৩১