- আজ বুধবার
- ২৫শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ৯ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১১ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩:০৫ অপরাহ্ণ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে তার নারী কর্মচারীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও এক পুলিশ কর্মকর্তা উৎকোচ নিয়ে ওই নারীকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণকারী কালিয়াকৈর উপজেলার সাদুল্লাহপুর এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সুবল চন্দ্র ঘোষ (৩০)।
এলাকাবাসী ও হোটেল সূত্রে জানা গেছে, সুবল চন্দ্র ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা নামে একটি খাবার হোটেল দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি বিয়ের প্রলোভনে তার হোটেলের এক নারী কর্মচারীকে আট মাস ধরে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। কিন্তু গত ১০/১২ দিন আগে ওই হোটেল মালিক সুবল তার নারী কর্মচারীকে বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী কর্মচারী বাদী হয়ে গত ৪ ডিসেম্বর কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ধর্ষণের শিকার নারী ওই হোটেলে গিয়ে অনশন করলে হোটেল মালিকসহ তার অন্য কর্মচারীরা তাকে মারধর করে। ওই নারীর বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানা এলাকা। এদিকে ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে কালিয়াকৈর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা হোটেল মালিক সুবলের বিরুদ্ধে কোনো প্রদক্ষেপ নেননি। উল্টো তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা হোটেলে অনশনরত নারীকে হুমকি-দামকি দেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই নারীকে জোরপূর্বক উত্তরবঙ্গের একটি গাড়িতেও তোলে দেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, প্রথমে জানা ছিল না সুবল হিন্দু। কিন্তু দৈহিক সম্পর্কের পর বুঝতে পারি, সে হিন্দু। পরে সে জানায় মুসলিম হয়ে আমাকে বিয়ে করবে এবং বাসা ভাড়া নিয়ে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে সুবল। এক পর্যায় সুবলের স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে হোটেলে এসে ভাঙচুর করে। তখনও সুবল বলেছে আমাকে বিয়ে করবে। কিন্তু এখন আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না।
অভিযুক্ত হোটেল মালিক সুবল চন্দ্র ঘোষ বলেন, ওই নারী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আমার হোটেলে আসে। পরে ওই পুলিশ ও ওই নারীসহ ৭০ হাজার টাকায় মিটমাট করেছি। এরপর পুলিশ তাকে গাড়িতে তুলে দিয়েছে।
এদিকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, বাদী নিজেই তার অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগ কিভাবে প্রত্যাহার করলেন? জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে ওই বাদীর সাথে কথা বলতে বলেন।